Pages

শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৩

আসুন বিভিন্ন মসজিদ সম্পর্কে জেনে নেই-পর্ব-২ ছোট সোনামসজিদ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমসবাই কেমন আছেনআমি আল্লাহর রহমতে ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের সবাইকে আমাদের বাংলাদেশের সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মসজিদের তথ্য পেয়েছি বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকেএতে আমার কোন কেরামতি নেইআমার কাছে ভাল লাগলো ভাবলাম সবাই তো বাংলাদেশে প্রতিদিন পরে না তাই তাদের জন্য
আমার এই আয়োজন-

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ একটি জেলা। প্রাচীন বাংলার গৌড়ের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা ও দর্শনীয় নিদর্শন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সুলতানি আমলে সুলতানদের নির্মিত বিভিন্ন মসজিদ ও হিন্দু শাসনামল বিশেষ করে সেন বংশের শেষ রাজাদের স্মৃতিচিহ্ন এখনো বিদ্যমান। এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে সুলতানি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ। ভারতের মালদহ জেলার মোহদিপুরে অনুরূপ একটি মসজিদ থাকায় সেটিকে বড় সোনামসজিদ এবং এটিকে ছোট সোনামসজিদ বলা হয়। এই ছোট সোনামসজিদ প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়-লক্ষ্নৌতির ফিরোজপুর কোয়ার্টার্সের শাহ নেয়ামতুল্লাহর তোহাখানা কমপ্লেঙ্ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিশাল এক দিঘির পাশে অবস্থিত। মসজিদের প্রধান প্রবেশপথের উপরিভাগে স্থাপিত একটি শিলালিপি অনুযায়ী মসজিদটি মজলিস-ই-মাজালিস মজলিস মনসুর ওয়ালি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয় বলে জানা যায়। শিলালিপিতে নির্মাণের সঠিক তারিখ সংবলিত অক্ষর মুছে গেলেও এতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের নাম উল্লেখ থাকায় ধারণা করা হয় তার রাজত্বকালের (১৪৯৪-১৫১৯) কোনো একসময় সোনামসজিদটি নির্মিত হয়। মসজিদের স্থপত্যশৈলী সবাইকে মুগ্ধ করে। মসজিদের দরজা শোভাবর্ধক রেখা দিয়ে ঘেরা থাকলেও এর খুব কাছে না গেলে এর কারুকার্য চোখে পড়ে না। জানা যায়, ১৮৯৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে ধ্বংসলীলার পর সংস্কারকাজের সময় পশ্চিম দেয়ালের দক্ষিণ অংশে পাথরের আস্তরণ অপসারিত হয়েছে। মসজিদের বাইরের দিকে চারকোণে চারটি বহুভুজাকৃতির বুরুজের সাহায্যে কোণকে মজবুত করা হয়েছে। মসজিদের সামনের দিকে পাঁচটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ৩টি করে প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোণে উপরিভাগে দোতলার আদলে নির্মিত একটি রাজকীয় গ্যালারি রয়েছে যা ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় আজও বিদ্যমান। এর উত্তর-পশ্চিম কোণে গ্যালারির প্রবেশপথ রয়েছে। এর সামনে একটি মেহরাব রয়েছে। মসজিদটির অলঙ্করণের ক্ষেত্রে খোদাইকৃত পাথর, ইটের বিন্যাস, পোড়ামাটির ফলকের গিল্টি ও চকচকে টালি ব্যবহৃত হয়েছে। সোনামসিজদের প্রধান ফটকের প্রায় সাড়ে ১৪ মিটার পূর্ব দিকে একটি পাথরের প্লাটফরম রয়েছে যার আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪.২ মিটার, পূর্ব-পশ্চিমে ৬.২ মিটার এবং উচ্চতা ১ মিটার। এর চারকোণে একটি করে প্রস্তর স্তম্ভ রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য ও চাওয়া-পাওয়া লিখুন অথবা পোষ্টের নাম উল্লেখ করে ই-মেইল করুন-
kabbokatha08@gmail.com