Pages

শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৩

আসুন বিভিন্ন মসজিদ সম্পর্কে জেনে নেই-পর্ব-১ মসজিদ আল নববী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সবাই কেমন আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সবাইকে আমাদের বাংলাদেশের সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মসজিদের তথ্য পেয়েছি বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে। এতে আমার কোন কেরামতি নেই। আমার কাছে ভাল লাগলো ভাবলাম সবাই তো বাংলাদেশে প্রতিদিন পরে না তাই তাদের জন্য
আমার এই আয়োজন-


পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এবং শান্তিময় শহর মদিনা যা 'মদিনা আল মনোয়ারা' নামে সুপরিচিতমনোয়ারা শব্দটিকে ইংরেজিতে (Radiant) বলা হয়, যার শাব্দিক অর্থ সুখী, সমৃদ্ধ, উজ্জ্বল, জ্যোর্তিময়, রৌদ্রোজ্জ্বল ইত্যাদিবাস্তবিক অর্থে মদিনা এক সমৃদ্ধ নগরী, যা ধারণ করে আছে ইসলাম ধর্মের প্রাচীনতম তিনটি মসজিদমসজিদ আল নববী, কুবা মসজিদ এবং মসজিদ আল কিবলাতইনঅন্যদিকে এ শহর ধন্য হয়েছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র সমাধিকে বুকে ধারণ করেমূলত এ সমাধিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে 'মসজিদ আল নববী' বা 'নবীর মসজিদ'

মসজিদ আল নববীর যাত্রা শুরু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র হাত ধরে৬২২ সালে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর নিজ বাসস্থানের পাশেই মহানবী (সা.) তার পবিত্র হাতে এই মসজিদ গড়ার কাজে অংশ নেনখেজুর গাছের কাণ্ড আর মাটির দেয়ালঘেরা এ মসজিদের তিনটি দরজা ছিলযা যথাক্রমে রহমতের দরজা, জিব্রাইল (আ.)-এর দরজা এবং মহিলাদের দরজা নামে পরিচিত ছিলগবেষণায় জানা যায়, পরবর্তীকালে পৃথিবীতে যত মসজিদ গড়ে উঠেছে, তা মূলত 'মসজিদ আল নববীকে অনুসরণ করেছে

মসজিদ আল নববীর বর্তমান অবয়বের পেছনে রয়েছে বহু ঘটনা, দুর্ঘটনা, যুদ্ধ, অবরোধ, ত্যাগ, তিতিক্ষা প্রভৃতিপ্রতিষ্ঠাকালীন আয়তন থেকে মসজিদের বর্তমান আয়তন প্রায় ১০০ গুণ বেশিযেখানে একসঙ্গে প্রায় ৬ লাখ মুসলি্ল নামাজ আদায় করতে পারেতবে হজ মৌসুমে মসজিদ ও পারিপাশ্বর্িক এলাকায় ১০ লাখ মুসলমান একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেএ মসজিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো একটি সবুজ গম্বুজএ গম্বুজটির নিচেই হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.)-এর ঘর ছিল বলে অনেক ঐতিহাসিক ধারণা করেনকালের পরিক্রমায় এ মসজিদের আয়তন বাড়তে থাকেযার উল্লেখযোগ্য দিক ছিল কারুকার্যময় সুদৃশ্য গম্বুজএসব গম্বুজের কোথাও কোথাও অলঙ্কারও লাগানো হতোপরবর্তীতে ওয়াহাবি আন্দোলনের সময় এসব গম্বুজ ধ্বংস করা হয় বর্তমানে মসজিদ আল নববীতে বিভিন্ন ধরনের ২৭টি গম্বুজ রয়েছেমসজিদের একটি অংশ দ্বিতলবিশিষ্ট৩৪৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ১০টি মিনার মসজিদের সৌন্দর্যকে বাড়তি মাত্রা দিয়েছেবর্তমানে মসজিদের একটি অংশে রয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফএই রওজা শরিফে আরও রয়েছে তার প্রিয় দুই সাহাবি হজরত আবুবকর (রা.) এবং হজরত উমর (রা.)-এর পবিত্র কবররওজা মোবারকের পাশেই রয়েছে 'রিয়াল আল জান্নাহ' বা 'বেহেশতের বাগান' নামে পরিচিত একটি অংশ অংশের রং এবং সাজসজ্জা মসজিদের অন্য এলাকা থেকে পৃথকএই অংশে ছোট ছোট কিছু পিলারও দৃশ্যমানমসজিদের বাইরে বিরাট অংশ ছাতা ও তাঁবু দিয়ে আবৃত করার ব্যবস্থা রয়েছেশান্তিময় ও স্নিগ্ধ পরিবেশের কারণে মসজিদ আল নববীর আবেদন চির অম্লান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য ও চাওয়া-পাওয়া লিখুন অথবা পোষ্টের নাম উল্লেখ করে ই-মেইল করুন-
kabbokatha08@gmail.com