খুব সহজে ভিডিও এডিটিং শিখুন- পর্ব-6-ডিউরেশন নিয়ে আলোচনা
প্রথমে সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে কেমন আছেন ? আমি আল্লাহর রহমতে খুব ভাল...
http://total-sw.blogspot.com/2012/03/6.html
প্রথমে সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে কেমন আছেন? আমি আল্লাহর রহমতে খুব ভাল আছি। মাঝে হঠ্যাৎ করে আমার পেশার লো হয়ে যায় এবং সারা রাত আমাকে স্যালাইন দেয়া হয়। যার ফলে আমি কিছূটা সময় পিসি থেকে দূরে ছিলাম। মাঝে আমাকে দূবাই পাঠানোর কথা ছিলো। কিন্তু আমার মন মানছিল না তাই আমার নানাকে বললাম আমি যাইতে পারব না।
আরো কত কিছু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এত দেরী হলো। যাইহোক আজকে একটি কথা বলে রাখি সর্বদা মনে রাখবেন, ভিডিও এডিটিং যখন শুরু করেছি তখন এর শেষ করেই ছাড়ব। ভিডিও এডিটিং এর কাজ আমি কুষ্টিয়া থেকে শিখেছি। কুষ্টিয়া শহরের যে ২য় গুরু তার কাছে আমি কাজ করতাম। যে খুবই একজন ভালো মনের মানুষ। সত্যিকথা বলতে গেলেকি আমি প্রথম ভিডিও এডিটিং বা মল্টিমিডিয়া কি জানতাম না। একদিন ওনি আমাকে ডেকে বললো মাল্টিমিয়ার কাজ করবে? আমি বললাম মাল্টিমিডিয়া কি? ওনি বললো সন্ধ্যায় আমার দোকানে এসো আমি দেখিয়ে দিব। তারপর থেকে যতটুকু পেরেছে, যাবতীয় ভিডিও এডিটিং এর কাজ আমাকে হাতে ধরে শিখিয়েছে। যার ফলে কুষ্টিয়াতে যেখানে এডিটিং এর কাজ হয় আর যারা জানে আমি তার কাছে কাজ শিখেছি বা কাজ করি তারা সবাই খুব সম্মান দেয় এবং অন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যে কুষ্টিয়া শহরের ২য় গুরু আশরাফ ভাই এর লোক খুব ভালো কাজ জানে। আর এভাবেই আমার কাজ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এত কথা বলার কারণ হলো সেই ভাই ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখাতে কোন কার্পন্ন করে নাই। উনার যা ছিলো সব দিয়েছে আর আমি যতটা পেরেছি ধরে রেখেছি। সেই মোতাবেক আমিও আপনাদের সব শিখাবো । কিন্তু তার জন্য সময় দরকার, আমাকে সময় দিবেন। আমার পোষ্টগুলো খুব ভালো করে পড়বেন, মাঝে মাঝে আমার ব্লগে যাবেন সেখানেও আমার পোষ্টে কমেন্ট করবেন। পুরাতন গুলো চর্চা করছেন কিনা তা জানাবেন। কোন পর্বটা বেশি বেশি করে চর্চা করছেন সেই পোষ্ট এর নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আর কোন সমস্যা হলো কিনা তাও বলবেন। যাতে করে আমি সমস্যার সমাধান করতে পারি। তবে আমার কাছে খারাপ লাগে যে, এখন পর্যন্ত কেউ কোন সমস্যার কথা বললো না? তাহলে আমি কি ধরে নিব যে আপনারা আমার পোষ্ট পড়ে বুঝেন নাই। সমস্যা যদি থাকে তবে তার সমাধান আছে, তাই আমার পোষ্ট ভালো লাগলে, ভাল কথা না বলে তার পরিবর্তে কমেন্ট করে বলবেন যে “আপনার পোষ্ট পড়ে সম্পূর্ণ রূপে বুঝতে পেরেছি”। তবেই আমার সার্থকতা। কারণ ভাল লাগলো কি আর না লাগলো কি যদি তা বুঝতে না পারেন তাহলে কোন লাভ নেই। তাই আপনাদের কাছে এতটুকু অনুরোধ রইল যে, বুঝতে কোন কষ্ট হচ্ছে কি না তা শুধু জানালেই আমি খুশি। এবার বলি ভিডিও এডিটিং এর আর কোন কোন সফট আপনাদে শিখাবো-ইউলিড মিডিয়া স্টুডিও ৭.০ ও ৮.০, ইউলিড কুল থ্রি ডি-, থ্রি ডি এ্যালবাম, পার্টিক্যাল ইলুশন, ফটোসফ। প্লাগিন্স হলো- হলিউড এক্স, হলিউড এক্স গোল্ড, ক্যানোপাস। কাউকে কিছু শিখালে জ্ঞান কমে না বরং বারে। আর কিছু দিন পরে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি এডোব ফটোশপ পিএস ৩ এর পোষ্ট। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি আপনাদের সম্পূর্ণ ফটোসফ শিখিয়েই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। দেখবো কিভাবে ফটোসফ না শিখে থাকতে পারেন। তবে একটু দেরি হচ্ছে কারণ ফটোসফ পিএস৩ আপলোড করতে গিয়ে সমস্যা পড়ছি। যাই হোক এখন আসি আসল আলোচনা। গত পর্বে দেখিয়েছি ডিজিটাল এ্যালবাম নিয়ে আরো একটু আলোচনা করব। আজকে আমি আপনাদের দেখাব কিভাবে টাইম ঠিক রেখে এবং ডিউরেশণ ঠিক রেখে স্টীল ছবি দিয়ে ডিজিটাল এ্যাবাম তৈরী করা যায়। যারা গত পর্ব পরেননি তারা ডান পাশের ব্যানার এ ক্লিক করে পড়ে নিবেন। তাহলে শুরু করি-
প্রথম ইউলিট মিডিয়া স্টুডিও ৭.০ চালু করুন। কিছু সময় ধরে সম্পূর্ণ ইন্টারফেস দেখুন আর মনে মনে ভাবুন আপনি এডিটিং এর কাজ খুব ভালো করেই জানেন। কারণ অনেকেরই মনের ভিতরে একটি ভয় কাজ করে। এই ভয়কে বের করতে হবে তা না হলে কাজ করতে গিয়ে ইজি কাজকে বিজি বানিয়ে ফেলবেই। এই কাজটি করতে আপনাকে গত পর্ব টি দেখতে হবে। কারণ পর্ব-৫ এ আমি দেখিয়েছি কিভাবে স্টীল ছবি দিয়ে ডিজিটাল এ্যালবাম তৈরী করতে হয়। কিন্তু সমস্যা হলো যে সেখানে শুধু ছবি আর ইফেক্ট দিয়ে তৈরী করেছি। আজকে দেখাবো সেই এ্যালবাম এর দুই সেকেন্ড করে ইফেক্ট দেয়া। যাকে ভিডিও এডিটিং এর ভাষায় বলে ডিউরেশন। এর জন্য কিছু ছবি প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে যে কোন ছবি নিতে পারেন অথবা আমার আগের টিউনে কিছু ছবি আপলোড করে দেয়া আছে তা ডাউনলোড করতে পারেন। গতে পর্বে-৫ এর মত একটি এ্যালবাম তৈরী করুন নিচে আমার ছবি লক্ষ করুন।
এখানে আমাদের দেয়া ইফেক্ট এর কোন ডিউরেশন নেই। ধরে ছেড়ে দেয়াতে যা হবার সেই ডিউরেশন মত হয়েছে। কিন্তু আমি এখন সব ইফেক্ট এর ডিউরেশন দেব ২ সেকেন্ড করে। এই জন্য প্রথম ইফেক্ট এর গায়ে মাউসের বাম বাটনে ক্লিক করে রাইট বাটন ক্লিক করে ডিউরেশন এ ক্লিক করুন নিচে আমার ছবির মত।
এবার সেকেন্ডের ঘরে ০২ সেকেন্ড লিখুন আর অন্য সব ঘর ০০ করে দিন। নিচে আমার ছবির মত।
ওকে ক্লিক করুন তাহলে ইফেক্ট একটু বড় হবে নিচে আমার ছবি লক্ষ করুন।
এবার ইফেক্টটিকে সিলেক্ট করে প্রথম ছবির শেষ অংশ এবং ইফেক্ট এর শেষ অংশ একসাথে থাকবে। নিচের আমার পাশাপাশি দুটো ছবি তে লক্ষ করুন।
এর পরে পূর্বের নিয়মে দ্বিতীয় ইফেক্টটি, তৃতীয় ইফেক্ট, ৪র্থ ইফেক্টটি সব গুলো ইফেক্ট একটি একটি করে সিলেক্ট করে ০২ সেকেন্ড ডিউরেশন দিন। তাহলে দেখতে আমার ছবির মত হবে।
এবার যেইভাবে বলেছি ঠিক সেই ভাবে দ্বিতীয় ইফেক্টটি ২য় ছবির প্রথমে হবে, তৃতীয় ইফেক্ট ২য় ছবির শেষে হবে আবার ৪র্থ ইফেক্টটি ৩য় ছবির প্রথম এ হবে। এই ক্ষেত্রে উপরের ছবির অনুসারে করবেন। ইফেক্ট উপরের ছবির সাথে শেষের অংশ মিল করুন। তাহলে দেখতে হবে আমার ছবির মত
এবার এই কাজ শেষ হলে নিচের যে ছবিগুলো আছে তার কাজ। ২য় ইফেক্ট ধরে নিয়ে নিচের প্রথম ছবির শেষে সাথে মিল করুন। তারপরে আমার ২য় উপরের ছবিটি ধরে ২য় ইফেক্ট এর কাছে আনুন। এভাবে সবগুলো কাছে আনুন তাহলে দেখতে হবে ঠিক আমার ছবির মত।
এবার কার্সরটি প্রথমে রেখে প্লে দিন আর দেখুন কত মজার ইফেক্ট।
মূল বিষয় আসিÑআজকে যা শিখলাম তাহলো ডিউরেশন গত পর্ব-৫ এ শিখেছি ছবির ডিউরেশন দেয়া। মানে হলো আমার ছবিটি কতটুকু সময় স্ক্রীনে থাকবে। দেখা গেল আমার ৫০০ ছবি আছে। তখন আপনি যদি ১ ঘন্টার এ্যালবাম করতে চান। তখন আপনাকে ৬০ গুন ৬০ সমান=৩৬০০ সেকেন্ড ভাগ ৫০০ সমান ৭.২ তখন আপনি নিবেন ছবির ডিউরেশন সেকেন্ড ০৭ এবং নেনো সেকেন্ড হবে ০২। এটি ছিলো পর্ব-৫ এর কাজ। আজকে যা দেখালাম তা হলো আপনার ছবির কতটুকু অংশ ইফেক্ট দেখাবে। ধরি আপনি ছবির ডিউরেশন নিয়েছেন ৭.২ সেকেন্ড তখন ইফেক্ট যদি দেন ০২ সেকেন্ড তাহলে ০২ সেকেন্ড যোগ ০২ সেকেন্ড সমান ০৪ সেকেন্ড আপনার ছবির ইফেক্ট হবে আর ৩.০২ সেক্টেন্ড স্কীনে ছবিটি স্টীল থাকবে। আশা করি বুঝতে কষ্ট হচেছ না। আজ এই পর্যন্ত, ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন আস্তে আস্তে সব শিখানো হবে।
ভাই অ্যালবাম ত তৈরি করতে পারি কিন্তু যেই অ্যালবামটা তৈরি করলাম সেটা সেভ করব কীভাবে?৪ নাম্বার পর্বটা পাইতেচি না। পরের আপডেট কবে দিবেন?
উত্তরমুছুনsob parbo guli pachhina.
উত্তরমুছুন