৯ জুলাই ইন্টারনেট বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে আড়াই লাখ কম্পিউটার
সারাবিশ্বে ৯ জুলাই আড়াই লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পিসি ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএন...
http://total-sw.blogspot.com/2012/07/blog-post.html
সারাবিশ্বে ৯ জুলাই আড়াই লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পিসি ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়ার’ নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুসন্ধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুগল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্ক বার্তা জারি করেছে, চলতি বছরের ৯ জুলাই সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ডিএনএস চেঞ্জার’ নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ইউআরএল বা ঠিকানা দিলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে তাদের ডিএনএস সার্ভার ঘুরে তবেই ওয়েবসাইটটি আসে। এতে হ্যাকাররা ইচ্ছামতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে।
ইন্টারনেট বিপর্যয়ের এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে কাজ করছে সার্চ সেবাদাতা গুগল। কিন্তু সতর্কতা জারির পরও আড়াই লাখ কম্পিউটার এখনও এই ট্রোজান আক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ডেটিকুই জানিয়েছে, সতর্কতা জারির পরও যেসব কম্পিউটার থেকে ম্যালওয়্যার অপসারণ করা হয়নি সেগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেক দিন আগেই ট্রোজান ভাইরাস নির্মাতাদের তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। পাশাপাশি তাদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনও বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সচল রাখতে এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছিল। ৯ জুলাই এফবিআই এই সেবাটি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমে ডিএনএস রাউটিং(এক ধরনের ডোমেইন নেম সিস্টেম কাঠামো) এখনো পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই কার্যক্রমটি বন্ধ করতে চেয়েছিল এফবিআই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেকে সচেতন না থাকায় জুলাই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মাত্র চার মাসের জন্য এফবিআই ডিএনএস সার্ভারগুলো চালু করা হলেও আদালতের নির্দেশে সেগুলো এত দিন ধরেই সক্রিয় আছে। তবে এবার জুলাইয়ের ৯ তারিখেই এগুলো বন্ধের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা তাঁদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য www.dns-ok.us ঠিকানায় ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন। যদি সবুজ সংকেত দেখায় তবে ম্যালওয়ার মুক্ত আর লাল সংকেত দেখালে সেই কম্পিউটারে এই ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে।
এদিকে এফবিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৯ জুলাই যখন অস্থায়ী সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন তাঁরা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনেট বিভিন্ন অনেক সহজ টুল ব্যবহার করে এই ম্যালওয়্যার অপসারণ করা যাবে। যদি কোন কম্পিউটারে ট্রোজান খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা নির্মূল করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে- www.dcwg.org/fix এই লিংকে
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা দ্রুত এ ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ডিএনএস চেঞ্জার’ নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ইউআরএল বা ঠিকানা দিলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে তাদের ডিএনএস সার্ভার ঘুরে তবেই ওয়েবসাইটটি আসে। এতে হ্যাকাররা ইচ্ছামতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে।
ইন্টারনেট বিপর্যয়ের এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে কাজ করছে সার্চ সেবাদাতা গুগল। কিন্তু সতর্কতা জারির পরও আড়াই লাখ কম্পিউটার এখনও এই ট্রোজান আক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ডেটিকুই জানিয়েছে, সতর্কতা জারির পরও যেসব কম্পিউটার থেকে ম্যালওয়্যার অপসারণ করা হয়নি সেগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেক দিন আগেই ট্রোজান ভাইরাস নির্মাতাদের তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। পাশাপাশি তাদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনও বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সচল রাখতে এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছিল। ৯ জুলাই এফবিআই এই সেবাটি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমে ডিএনএস রাউটিং(এক ধরনের ডোমেইন নেম সিস্টেম কাঠামো) এখনো পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই কার্যক্রমটি বন্ধ করতে চেয়েছিল এফবিআই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেকে সচেতন না থাকায় জুলাই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মাত্র চার মাসের জন্য এফবিআই ডিএনএস সার্ভারগুলো চালু করা হলেও আদালতের নির্দেশে সেগুলো এত দিন ধরেই সক্রিয় আছে। তবে এবার জুলাইয়ের ৯ তারিখেই এগুলো বন্ধের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা তাঁদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য www.dns-ok.us ঠিকানায় ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন। যদি সবুজ সংকেত দেখায় তবে ম্যালওয়ার মুক্ত আর লাল সংকেত দেখালে সেই কম্পিউটারে এই ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে।
এদিকে এফবিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৯ জুলাই যখন অস্থায়ী সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন তাঁরা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনেট বিভিন্ন অনেক সহজ টুল ব্যবহার করে এই ম্যালওয়্যার অপসারণ করা যাবে। যদি কোন কম্পিউটারে ট্রোজান খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা নির্মূল করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে- www.dcwg.org/fix এই লিংকে
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা দ্রুত এ ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আপনার মন্তব্য ও চাওয়া-পাওয়া লিখুন অথবা পোষ্টের নাম উল্লেখ করে ই-মেইল করুন-
kabbokatha08@gmail.com