আসুন বিভিন্ন মসজিদ সম্পর্কে জেনে নেই-পর্ব-৪ আল আকসা মসজিদ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । সবাই কেমন আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের সবাইকে আমাদের বাংলাদেশের সহ বিভিন্ন দেশের ...
http://total-sw.blogspot.com/2013/03/blog-post_4031.html
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সবাই কেমন
আছেন। আমি
আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সবাইকে আমাদের
বাংলাদেশের সহ বিভিন্ন দেশের কিছু মসজিদের তথ্য
পেয়েছি বাংলাদেশ
প্রতিদিন থেকে। এতে আমার কোন কেরামতি নেই। আমার
কাছে ভাল লাগলো ভাবলাম সবাই তো বাংলাদেশে প্রতিদিন পরে
না তাই তাদের জন্য
আমার এই আয়োজন-
অলৌকিক ঘটনা, নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, যুদ্ধ, শান্তিচুক্তি, দখল, পাল্টা
দখল, অগি্নসংযোগ এবং ভূমিকম্পের মতো ঘটন-অঘটনের নীরব সাক্ষী হয়ে পৃথিবীর
বুকে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে 'মসজিদ আল আকসা'। 'আকসা' শব্দটি দিয়ে
দূরবর্তী কিছুকে বুঝানো হয়। ধারণা করা হয়, ইসলামের তীর্থভূমি মক্কা থেকে
পশ্চিম দিকে জান্নাত সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে এই মসজিদ নির্মিত হয় বলে
মসজিদের নামকরণ করা হয় 'মসজিদ আল আকসা'। মসজিদটির অপর নাম 'বায়তুল
মুকাদ্দাস।' মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে আল কুদস্ নামক স্থানে অবস্থিত, যা
বর্তমানে জেরুজালেম নামে অধিক পরিচিত। এ মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে বিভিন্ন
তথ্য পাওয়া যায়। একদল ইতিহাসবিদ মনে করেন, আল আকসা মসজিদ মূলত হজরত আদম
(আ.)-এর মাধ্যমেই তৈরি হয়, যা পরবর্তী নবীরা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করেন।
মক্কা নগরীতে মসজিদ আল হারাম নির্মাণের ৪০ বছর পর আল আকসা মসজিদ নির্মিত
হয় বলে বোখারি (৩৩ ও ৬৬) এবং মুসলিম (৫২০) শরিফে উল্লেখ রয়েছে। তবে
অধিকাংশের মতে, হজরত ইব্রাহিম (আ.) এই মসজিদ বর্তমান অবস্থানে নির্মাণ
করেন। তার কনিষ্ঠ পুত্র হজরত ইসহাক (আ.) এই মসজিদেই ইবাদত করতেন এবং
পরবর্তীতে হজের উদ্দেশে মক্কা গমন করেন। হজরত ইসহাক (আ.)-এর দ্বিতীয় পুত্র
হজরত জাকারিয়া এই মসজিদ সম্প্রসারণ করেন। তবে আল আকসা মসজিদের গুরুত্ব
ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায় শবে মেরাজের পর। পবিত্র কোরআন শরিফের বর্ণনা মতে,
শবে মেরাজের রাতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে প্রথমে আল আকসা মসজিদে
আসেন। এ মসজিদে তখন সব নবী-রাসূলগণ সমবেত ছিলেন। (হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর
ইমামতিতে সমবেত সব পয়গম্বর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এরপর পাথর
নির্মিত গম্বুজে দাঁড়িয়ে বোরাক নামক বিশেষ বাহনে চড়ে হজরত জিব্রাইল
(আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের
উদ্দেশে ঊধর্্বমুখে উড্ডয়ন করেন। আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড়
কারণ হলো প্রথম থেকে হিজরত পরবর্তী ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলমানরা আল আকসা
মসজিদের দিকে মুখ করে প্রার্থনা করতেন বা নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে
মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানদের কেবলা মক্কার দিকে পরিবর্তিত হয়।
মুসলমানদের দ্বারা মক্কা বিজয়ের পর আল আকসা মসজিদের উন্নয়নে ব্যাপক
উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ৭৪৬ সাল এবং ১০৩৩ সালে ভূমিকম্পের কারণে মসজিদটি
দুবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ১০৯৯ সাল থেকে পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর মুসলমান,
ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের মাঝে ধর্মযুদ্ধের কারণেও মসজিদটির ব্যাপক
ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইহুদি ধর্মমতে, তাদের ধর্মীয় পয়গম্বর ডেভিদ; যিনি ইসলাম
ধর্মে হজরত দাউদ (আ.) নামে পরিচিত। এ মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের
গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয় বা মন্দির স্থাপন করেছিলেন। এ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ
উদ্ধারের নামে মসজিদ প্রাঙ্গণে খননের ফলে মূল আল আকসা মসজিদটি হুমকির
সম্মুখীন হয়।
এ ছাড়া ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট এক রহস্যজনক অগি্নকাণ্ডের ফলে আল আকসা
মসজিদের দক্ষিণাংশ পুড়ে যায়। বর্তমানে মসজিদ প্রাঙ্গণটি ১৫,৫০,০০০
স্কয়ার ফুট এলাকার ওপর অবস্থিত। শুধু মসজিদের আয়তন ৩,৮০,০০০ স্কয়ার ফুট।
মসজিদটিতে ২টি বড় এবং ১০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন
পর্যায়ে স্বর্ণ, সিসা বা লিড এবং মার্বেলসহ বিভিন্ন প্রকার পাথর ব্যবহৃত
হয়। জেরুজালেম এলাকাটি বর্তমানে ইহুদিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে মসজিদ
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচিত একদল নিবেদিতপ্রাণ এবং
অকুতোভয় মুসলমান।
আপনার মন্তব্য ও চাওয়া-পাওয়া লিখুন অথবা পোষ্টের নাম উল্লেখ করে ই-মেইল করুন-
kabbokatha08@gmail.com